আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আগামী ১০ এপ্রিল নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
সম্প্রতি কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষার সময় এক মাস পেছানো এবং প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে ৩-৪ দিন বিরতি রাখার দাবি জানায়। তারা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাদের যুক্তি, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ঈদের পরপরই পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, এপ্রিল ও মে মাসের তীব্র গরমেও পরীক্ষার সমস্যা হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
তবে এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাঠানো শেষ হয়েছে। এখন পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রায় সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পক্ষে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রায় ৮-৯ মাস আগে প্রকাশ করা হয়েছিল, এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়েছে। পরীক্ষা শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই ধরনের দাবি অযৌক্তিক বলে মনে করছে বোর্ড।
তারা আরও বলেন, “পরীক্ষা শুরুর পূর্বনির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করার জন্য দেশে কোনো বড় ধরনের দুর্যোগ বা অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের কোনো কারণ নেই।”
শিক্ষা বোর্ড জানায়, জুন মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে। তাই এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হলে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, “পরীক্ষা পেছানোর মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই এখনই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গুজব এবং বিভ্রান্তি এড়িয়ে সঠিকভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”