কমলগঞ্জে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা

এফএনএস (এস.কে.দাস; কমলগঞ্জ, মৌলভী বাজার) : : | প্রকাশ: ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
কমলগঞ্জে শেষ  মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা

ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহুর্তে চলছে ঈদের কেনাকাটা। প্রতিটি হাট-বাজারের দোকানে প্রচন্ড ভিড়ে দোকানীরা হিমশিম খাচ্ছেন।কেনাকাটায় ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউ পিছিয়ে নেই। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা ছুটছেন ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলোতে। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে  উপজেলার ছোট বড় হাট বাজার গুলো। ঈদকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি জামা-কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল ও প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।  ছোট-বড় মার্কেট, বিপনি বিতান গুলো করা হয়েছে আলোকসজ্জিত। 

 উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে বেচা-বিক্রীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন  বিক্রেতারা। পাশাপাশি ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকান ও ভ্যানগাড়ীতে নিম্নবিত্ত মানুষের আনাগোনা বেড়েছে এবং বেচা-কেনা চলছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারের আরপি টাওয়ার, রয়েল প্লাজা রহিম ম্যানসন, রহমান প্লাজা, সুবল ট্রেড সেন্টার, এ কে শপিংমল, এ,আর কমপ্লেক্স, ইত্যাদি ক্লথ ষ্টোর এবং ভানুগাছ বাজার, আদমপুর বাজার , মুন্সী বাজার ,শহীদনগর বাজার ঘুরে দেখা যায় এবারের  ঈদে দেশীয় পোষাকের আধিপত্যের সাথে মেয়েদের পাকিস্তানী নানান ধরনের পোশাকের বেশি চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য বছর ভারতীয় পোষাকের চাহিদা জনপ্রিয়তা বেশী ছিল। 

রহিম ম্যানসনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রীতি ক্লথ ষ্টোরের মালিক সাংবাদিক প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ জানান, গ্রাহকের পছন্দের সব রকমের পোষাক রেখেছেন এবং বেচা-কেনা ভালোই হচ্ছে।  শুভেচ্ছা ক্লথ ষ্টোরের মালিক জানান, তিনির দোকানে গ্রাহকদের পছন্দের কাপড় থাকায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা আসেন। এ বারের ঈদে মেয়েদের পাকিস্তানী পারসী,জমজম,(সুতি)সাদা বাহার, পেশওয়ারী ও গুজরাট নামীয় রেডি ও আনরেডি থ্রি পিচের  চাহিদা বেশী। এগুলোর  দাম ১২০০ টাকা হতে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। বয়স্ক মহিলাদের সূতি ও তাত জামদানী শাড়ীতে চাহিদা বেশী। এ গুলোর দাম ১৫০০ টাকা হতে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। ছেলেদের  অনলাইন ডিজাইনের  পান্জাবীর প্রতি  আকর্ষণ।  ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে চাহিদা দেশীয় আলমস এর নানা ডিজাইনের রেডি কাপড়। এগুলোর  দাম ৩০০ টাকা হতে ২২০০ টাকা পযর্ন্ত।

বিচিত্রা ফ্যাশনে গিয়ে  দেখা যায়, ক্রেতাদের ভীড় বেশী। দোকানের  মালিক সুমন এস চৌধুরী জানান বিভিন্ন ধরনের পান্জাবী,জিন্স পেন্ট,টিসার্ট, জোকার্স, মোবাইলপেন্ট, বেলবেট মোবাইলপেন্ট, বেশী বিক্রি হচ্ছে। ইত্যাদি ক্লথ ষ্টোরের বিক্রেতা সোহাগ হালদার বলেন, মেয়েদের পাকিস্তানী পোষাকের চাহিদা বেশী। প্রতিটি দোকানের বিক্রেতা জানান, ঈদের বেচা-কেনা ভালোই হচ্ছে । 

এদিকে ঈদের বাজার নির্বিঘ্নে করতে তথফর রয়েছে আইনসৃঙ্খলা বাহিনী। কমলগঞ্জ অফিসার ওসি(তদন্ত) শামীম আকন্জি জানান, উপজেলার প্রতিটি  হাট-বাজার গুলোতে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি রয়েছে ।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে