দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পরেছেন রোগীরা।২ লাখের ও বেশি মানুষের একমাত্র চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র এ হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।এতে অনেক সময় রোগীরা সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি খরচে বেসরকারি হাসপাতালে নিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। খানসামা উপজেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর জেলা শহর , এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৩১ শয্যা কাঠামোতে ও জনবল সংকট। রয়েছে অনিয়ম,অব্যাবস্থাপনা।স্বাস্থ্যসেবা চরম বিঘ্নিত। পূর্বে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেন ,এবং বাস্তবায়িত প্রকল্প ২০২১ সালে হস্তান্তর করা হয়।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে এলাকাবাসী চিকিৎসা সেবা নিতে আশাম্বিত হয়েছে। ৪ বছর পেরিয়ে গেলে ও ৫০ শয্যার হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন হওয়ায় পরে ও লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন হয়নি। সেই আগের ৩১ শয্যা হাসপাতাল কাঠামোতে যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন তাও নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।কাঙ্ক্ষিত সুফল এখনো পাচ্ছে না এলাকাবাসী। ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাঠামোতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ চিকিৎসক পদ রয়েছে ১৬ টি। সেই পদে ও লোকবল নেই। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জন ,১ জন মেডিকেল অফিসার ,১জন আর এম ও ,১ জন ডেন্টাল সার্জন ,১ জন এনেস্থিসিয়া কনসালটেন্ট রয়েছেন। এবং ১ জন গাইনী কনসালটেন্ট ডেপুটেশনে নীলফামারী মেডিকেলে দায়িত্ব পালন করছেন সপ্তাহে ১ দিন খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন।
হাসপাতালটিতে ২য় শ্রেণী ৩৭ পদের মধ্যে রয়েছে ৩৭জন। ৩য় শ্রেণী ৮২ পদের মধ্যে ৫৪ জন। ৪র্থ শ্রেণী ২১ পদের মধ্যে ১০ জন। ডাঃ সহ মোট ৪৯ শুন্য পদ রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ,দৈনিক তিন - চারশত রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। তা ছাড়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। লোকবল নিয়োগ চেয়ে ইতি পূবে সহ গত সপ্তাহে ও উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট পত্র দেওয়া হয়েছে। লোকবল নিয়োগ হলে চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি পাবে।