বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় এতিম, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।রোববার (১৬ মার্চ) সিলেট নগরীর একটি অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খছরুর সঞ্চালনায় রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম.এ সালাম, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, প্রো-ভিসি অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আশরাফুল আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবরসহ শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ গোলজার আহমদ, দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুক্তাবিস উন নূর, দৈনিক শ্যামল সিলেটের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এডভোকেট সামছুজ্জামান জামানসহ অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানাই।”
আয়োজক হিসেবে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। দীর্ঘদিন কারাবরণ করেও তিনি গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকলেও বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনা করছেন। ১৭ বছরের টানা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমাদেরকে এখন দেশ গড়ার আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।
ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সালেহ আহমদ। পাশাপাশি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
সিলেট বিভাগের চার জেলা, সিলেট মহানগর, বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দোয়া ও ইফতার মাহফিলটি এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয়।