মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর দিবসে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনাসভা ৩ এপ্রিল শহরের স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তিসৌধে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শহিদদের বেদী মুক্তিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর স্মৃতি সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চাঁদপুর জেলার নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর স্মৃতি সংসদ এর সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সরদার আবুল বাসারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী'র সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কমরেড আজিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মো: জহির উদ্দিন বাবর পাটওয়ারী। আলোচনাসভা চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর স্মৃতি সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, জেলা সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, সিপিবি শহর শাখার নেতা দুলাল গোস্বামী, জেলা যুব ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রনজিত সরকার, জেলা উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাফর আহম্মেদ, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী আছমা আক্তার।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে চাঁদপুরকে শত্রুমুক্ত করতে বোমা বানাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত: বোমা বিস্ফোরিত হয়ে শহিদ হন কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সেই আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাণিজ্য করে মুক্তিযুদ্ধের আসল উদ্দেশ্য ভূলুণ্ঠিত করেছে। আরেকটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে এ মহৎ কর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। সেই স্বাধীনতাবিরোধীরা এখন মুক্তিযুদ্ধের শেষ চিহ্নটুকুও রাখবেনা-এমন সব কর্তব্য করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মরা যতদিন বেঁচে আছে তার সমুচিত জবাব একদিন দেবেই।