চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে বিভিন্ন গন্তব্যে নৌপথের যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
ঈদ যাত্রায় নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জরিমানার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষ অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক লঞ্চগুলোতে ৪ জন করে আনসার সদস্য থাকতে হবে। লঞ্চঘাটে সিএনজি অটোরিকশা, অটোবাইক চিৎকার চেঁচামেচি,যাত্রীদের টানাহেচড়া ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
জেলা প্রশাসন লঞ্চ ঘাটে সার্বক্ষণিক দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট রেখেছেন। তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে স্কাউট সদস্যরাও কাজ করছে।শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুমাতুল বিদার পর দুপুরে তিনি চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন কালে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নৌ পথের যাত্রীদের ন্যায় চাঁদপুরের সড়ক ও রেলপথের যাত্রীদের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো দেখা হচ্ছে। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় সড়কে যৌথবাহিনী কাজ করছে। ভোর বেলা এবং রাত দশটার পর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ সময় নৌ মন্ত্রণালয়ের ডিএস ও যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম,চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল কর্মকর্তা বাছির আলী খান, নৌ পুলিশের প্রতিনিধি চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নৌ মন্ত্রণালয়ের ডিএস ও যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন,পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ উপলক্ষ্যে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে চাঁদপুরে আমরা ৫ সদস্যের মনিটরিং টিম কাজ করছি। যাত্রীদের সাথে কথাও বলেছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি বলে যাত্রীসাধারণ জানিয়েছে।বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।