চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বিনোদন কেন্দ্রে ঈদ আনন্দে মেতেছেন দর্শনার্থীরা

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : : | প্রকাশ: ৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বিনোদন কেন্দ্রে ঈদ আনন্দে মেতেছেন দর্শনার্থীরা

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারসহ যেকোনো উৎসবকে ঘিরে সবসময় মুখোরিত হয়ে উঠে চাঁদপুরের তিন নদীর মিলনস্থল রেলওয়ে বড় স্টেশন মোলহেড এলাকা। এবার ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পবিত্র ঈদুল ফিতর এর দিন দুপুর থেকে শনিবার  দর্শনার্থীদের পদাচরনায় মুখোরিত ছিলো এই পর্যটন এলাকা।ঈদের সরকারি ছুটি গতকাল শেষ হলেও, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শেষ হয় নি ঈদের আমেজ। ঈদের পঞ্চম ও ষষ্ঠ  দিনেও নদীবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা চাঁদপুর জেলা শহরের প্রধান এই দর্শনীয় স্থানটি দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।  মানুষ আর যানবাহনের চাপে সেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট নিরসন করতে খোদ চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ দলীয় নেতাকর্মীদের দেখা গেছে ট্রাফিকের ভূমিকায় কাজ করতে।  

দর্শনার্থীরা বলছেন, বছরের অন্যান্য সময় ফুসরত না মেলায় ঈদের ছুটিকেই পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন তারা। আশপাশের জেলা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী মানুষের আগমণ ঘটছে এখানে।

চাঁদপুর জেলায় প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বসাবস। কিন্তু উৎসবকে ঘিরে নিরাপদ এবং মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেনি বড় ধরণের কোন পর্যটন কেন্দ্র। বাণিজ্যিকভাবে ছোট খাট পার্ক তৈরী করা হলেও নিরাপত্তা এবং যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা কম। যে কারণে বার বার মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া দেশের নামকরা এই তিন নদীর মিলনস্থল চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের স্থানটিতে ছুটে আসেন ঘুরে দেখার জন্য। 

পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ বন্ধের কারণে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছেন। বিশেষ করে তিনটি নদীর মিলনস্থল, নদীর ঢেউ, সকাল, দুপুর ও বিকেলের পরিবেশ প্রতিটি ভ্রমণ পিপাসুকে আকর্ষণ করে। যে কারণে জেলার বাহিরের লোকজন এবারের ঈদে এখানে ছুটে এসেছেন।

এছাড়াও এখানে এসে অনেকেই স্পীড বোট দিয়ে নদী ভ্রমন এবং ট্রলারে করে মেঘনার চরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছোট্ট শিশু সোনিয়া । ঈদে এই ছোট্ট সোনামণির স্কুল ছুটি থাকায়, ঢাকা থেকে নদীপথে লঞ্চে করে মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছে এই স্থানটি দেখার জন্য । সোনিয়া বলে, ‘এখানে এসে আমার খুব ভালো লেগেছে।’ তার মা বাবা বলে, এখানে বিভিন্ন ধরনের ‘রাইড আছে। জায়গাটা খুব সুন্দর।’ চারিদিকে নদী, সবুজ ছায়া আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ রক্তধারা,সি সি ব্লকবেষ্টিত শহর রক্ষা বাঁধ, পাশেই রেলস্টেশন ও মাছ ঘাট। একটু অদূরে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এবং শহর এলাকা। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে রেলওয়ের দৃষ্টিনন্দন এই শান্তিতে  প্রিয়জনের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন সব বয়সী মানুষ।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে