ডুমুরিয়ায় যথাযোগ্যো মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

এফএনএস (আঃ লতিফ মোড়ল; ডুমুরিয়া, খুলনা) : : | প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
ডুমুরিয়ায় যথাযোগ্যো মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে দিয়ে ডুমুরিয়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বুধবার দিনব্যাপি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।  সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের শুভ সূচনা করা হয়। সকালে উপজেলা স্বাধীনতা চত্বর স্মৃতিসৌধ ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সকালে  মসজিদে কোরআন-খানি, দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ডুমুরিয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন।বক্তব্য দেন  উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আসাদুর রহমান, থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন,উপজেলা প্রকৌশলী মুহা রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ বায়জিদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত  বিশ্বাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টার মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সরদার  জাহিদুর রহমান, উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র দাস, ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার প্রমূখ। অপর দিকে উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুখ, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন পেশা জীবি সংগঠন,স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় পুলিশ,আনছার ভিডিপি, স্কুল কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে বক্তারা বলেন, ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যায় মেতে ওঠে। গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। প্রথমে নিজের, পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান (পরে রাষ্ট্রপতি)।

পাকিস্তানি বাহিনীর কাপুরুষোচিত আক্রমণ ও গণহত্যার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাঙালিদের অভিন্ন অভিপ্রায় হয়ে ওঠে স্বাধীনতা অর্জন। সশস্ত্র লড়াই ও প্রতিরোধে আগুয়ান হয় এ দেশের মুক্তিকামী জনতা। শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় আসে।বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় এক নতুন মানচিত্রÑস্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে শোষিত ও বঞ্চিত বাঙালিরা পায় পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে