নবজাতকের মৃত্যুতে নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেয়া নবজাতকের মৃত্যুতে নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের অভিযুক্ত সিনিয়র ওই নার্সের নাম সাবরিনা মমতাজ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রসূতি সুমাইয়ার বাবা মো. মিজানুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। লিখিত অভিযোগে জানা যায়,  গত রবিবার ৯ মার্চ অন্তঃসত্ত্বা সুমাইয়া অসুস্থবোধ করলে  ডা: ফারজানার কাছে মোবাইলে পরামর্শ চাইলে সে তাকে দৌলতখান হাসপাতালের নার্স সাবরিনা মমতাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সোমবার ১০ মার্চ ডেলিভারি করানোর জন্য তাকে দৌলতখান হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সাবরিনা মমতাজের কাছে নিয়ে আসা হয়। সুৃমাইয়ার স্বজনদের অভিযোগ, ডেলিভারি করার সময় প্রসূতিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ফলে প্রসূতির পেটের বাচ্চার শরীরে যখম ও শ্বাসনালীতে রক্ত আসে। এতে সদ্য প্রসূত   নবজাতকের মৃত্যু হয়।  

সুমাইয়ার বাবা মিজানুর রহমান জানান, ১২ ফেব্রুয়ারী অসুস্থ সুমাইয়া ঢাকা থেকে ভোলায় আসে। গত ৯ মার্চ সে অসুস্থবোধ করলে ডা: ফারজানার পরামর্শে তাকে  সোমবার ১০ মার্চ দৌলতখান হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সাবরিনা মমতাজের কাছে ডেলিভারি করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। ডেলিভারি করানোর সময় ডা: ফারজানা উপস্থিত ছিলেন না। লেভার রুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করার জন্য তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। ডেলিভারি করাতে স্বজনদের সাথে আলাপ না করেই সাইড কেটে প্রসব করানো হয়। এতে সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি ও নবজাতকের অবস্থা আশষ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন। এসময় পথিমধ্যে সদ্য প্রসূত ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

সিনিয়র নার্স সাবরিনা মমতাজের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি মোবাইলে তার কাছে  জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি স্টেশনে নেই। খুলনায় ট্রেনিং এ আছি।  একটা কথা বললেই হবে না। তারা বাচ্চা উঠাক, দেখুক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনিসুর রহমান জানান, নবজাতক মৃত্যুতে সিনিয়র নার্স সাবরিনা মমতাজ এর বিরুদ্ধে   লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এঘটনায় যথাযথ দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা: মু. মনিরুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক, তারপর দেখি ঘটনাটি কি ঘটেছিল।