স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে: জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ে যত রকমের সহিংসতাসহ সমস্যার মুল কারন হচ্ছে চাঁদাবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ না করলে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান হবেনা।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের বিভিন্ন থানায় যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে সেসব হাতিয়ার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, এসব হাতিয়ার উদ্ধার করতে পারলে সমস্যা অনেক কমে যাবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তাসহ সীমান্তে অবৈধ অস্ত্রের চোরচালান বন্ধে পার্বত্য এলাকায় বিজিবির ক্যাম্প বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়া গুজবে চ্যাম্পিয়ন, তারা দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। তাদের গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে সাজেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুরে রাঙ্গামাটি বিজিবি সেক্টর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সু-প্রদীপ চাকমা, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিজিবব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক ব্রিগেঃ জেনারেল মোঃ সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রি: জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, পিলখানা অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ব্যুরো চীফ) ব্রি: জেনারেল মোঃ ইয়াছির জাহান হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগা সচিব, উপ মহাপরিচালক (পূর্ত) কর্নেল সোহেল আহমেদ, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, বিজিওএম, পিএসসি, জি পরিচালক লেঃ কর্নেল মোঃ আতিফ সিদ্দিকী, বিজিবিএমএস, পিএসসি পিএস টু ডিজি লেঃ কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী, এনএসআই পরিচালক মোহাম্মদ আবু নোমান সরকার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামস আরমান প্রমুখ।
স্বরাষ্ট উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে উন্নয়ন কার্যক্রমের বেশীরভাগই শহর কেন্দ্রীক। সরকারের উন্নয়নের কার্যক্রম পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের সুফল যেন সাধারন জনগন ভোগ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।