পীরগঞ্জে অলিগলিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

এফএনএস (মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; পীরগঞ্জ, রংপুর) : : | প্রকাশ: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
পীরগঞ্জে অলিগলিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা এখন মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দিনরাত ঘুরছে মাদককারবারিরা । 

উপজেলার ১ টি পৌরসভা এবং ১৫ টি ইউনিয়নের হাটবাজার,রাস্তাঘাটের অলিগলিতে মাদক সেবন এবং বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। আদিবাসী পল্লীগুলোতে নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট চুল্লিতে আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি করা হয়েছে চোলাই মদ। সুধী মহলের অভিমত,দিনদিন মাদক ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও। স্থানীয় এবং বাহিরের লোকজন এই মাদক সেবন এবং বিক্রি করছে। বিশেষ করে হাটবাজার গুলোতে সন্ধ্যার পর থেকে মাদক সেবনের পর প্রকশ্যে মাতলামি করছে কেউ কেউ। এদের কারবারে হাটবাজারে লোকজন অতিষ্ট। পাচগাছি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার লোকজন জানান,আমোদপুর, এনায়েতপুর আদিবাসী পাড়ায় চোলাই মদ তৈরির একাধিক কারখানা রয়েছে। ওই  কারখানায় অন্য ধর্মাবলম্বীরা জমজমাট ব্যবসা করছে। এছাড়াও ইয়াবা, গাঁজা এবং স্থানীয়ভাবে তৈরী চেলাই মদ মিলছে হাত বাড়ালেই। চতরা এলাকার লোকজন জানান, বড় ভগবানপুর, চতরা, শিবটারি,বিরাহিমপুর গ্রামে বহিরাগতরা চোলাই মদ কারবারের সাথে জড়িত। সন্ধ্যার পর থেকে তারা খান থেকে মাদক নিয়ে যায় এবং চোলাই মদ  তৈরির মালামাল ও অর্থ যোগান দেয়। আদিবাসীদের মাধ্যমে সারারাত মদ তৈরি করা হয়। সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাট দিয়ে যাতায়াত করলেই মাদকের গন্ধ পাওয়া যায় আদিবাসী পাড়ায়। চৈত্রকোল ইউনিয়নের কলোনি বাজার এলাকায় রাতের আধারে মাদক সেবন এবং কেনাবেচা হয়ে থাকে। বিশেষ করে আদিবাসী পল্লীতে চোলাই মদ তৈরি করা হচ্ছে প্রতিদিন।  এজন্য মাদক সেবন কারিদের দখলে হাটবাজার এবং রাস্তাঘাট। সম্প্রতি 

রাতে টুকুরিয়া ইউনিয়নের সাফায়াত মিয়া নামের এক গ্রাম পুলিশকে মাদক কারবারিরা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও মাদক সেবনকারী বা ৪ জন আসামি নাকে তেল দিয়ে ঘুমুচ্ছেন। থানা পুলিশ কাউকে আটক করছে না মর্মে বাদি পক্ষের অভিযোগ রয়েছে। ভেন্ডাবাড়ী এবং বড় দরগাহ্ এলাকায় মাদক কারবারিদের দৌড়ঝাঁপ অনেক বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের কিশোররা নেশায় আসক্ত হচ্ছে নতুন করে। অনেকেই নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নিজেদের এবং অন্যের মালামাল চুরি ছিনতাইয়ে বাধ্য হচ্ছে। করছে। মাদক নির্মুল বা মাদক কারবার বন্ধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন  এলাকাবাসী। এজন্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামগ্রিক তৎপরতাও বাড়ানো দরকার। পীরগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মাদক সেবন এবং কেনাবেচার তথ্য দেন আমরা এদের ধরতে পারি কিনা?

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে