আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে মৎস্য ঘের জবর দখলে বাধা প্রদান করায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহত ৩ জনকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
সুভদ্রাকাটি গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে ইউছুপ গাজী বাদী হয়ে একই গ্রামের জিয়াদ গাজীর ছেলে আলমগীর, গোলাম রসুলের ছেলে আরিফুল ও আমিনুর, মৃত নেছার গাজীর ছেলে নজরুল ও
সােহরাব সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, অধিকাংশ আসামীরা আওয়ামীলীগের উগ্রপন্থি নেতাকর্মী, আসামী ও বাদীদের
বাড়ী একই গ্রামে। বাদীর বসত বাড়ী সংলগ্ন ওয়াপদা ভেড়ীবাঁধের উত্তর পাশে নদীর চরে বাদী ও বাদীর ঘের পার্টনার মোস্তফা হেলালুজ্জামান ও মিলন আহসানের ডিডকৃত ৭৩ বিঘা মৎস্য ঘের আছে। আসামীরা সম্পুর্ন গায়ের জোরে জবর দখল করতে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ১৪ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে আসামীরা দা, চাপাতি, কোপা, চাইনিজ কুড়াল, রড নিয়ে ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে জবর দখলের চেষ্টা করলে বাদী বাধা নিষেধ করায় আসামীরা এলােপাতাড়ী মারপিট করে শরীরে জখম করে। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে ডান কানের গড়ায় লাগায় গুরুতর কাটা জখম হয়। বাদীর আত্মীয় মুহতারাম সানা ও প্রতিবেশী ভগ্নিপতি ইদ্রিস অলী শেখ ঠেকাতে গেলে জখম করা হয়। বাদীর গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। ঘেরের ঘুনি, নেট ও বাসা ভাংচুর করে ৫০ সহস্রাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। স্বাক্ষীরাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে আসামীরা জীবন নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দ্রুত চলিয়া যায়। পারিবারের লোকজন স্বাক্ষীদের সহায়তায় জখমীদের উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করেন।