লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় মাছ ধরার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদব চন্দ্র(৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ভারতীয় বেশ কয়েকজন নাগরিক। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরের দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাদব চন্দ্র লোহাকুচি এলাকার মৃত মদন মোহন এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তে মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশ দিয়ে তৈরী মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ) স্থাপন করে মাধব। মাধবের ওই টেপাইয়ের মাছ ভারতীয় নাগরিকগন প্রতিদিন চুরি করে নিয়ে যায়। শনিবার সকাল ১২ টার দিকে মাদব নদীতে গিয়ে দেখেন ভারতীয়রা তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করছে। পরে সে প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা নাগরিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে মাদবকে বরধরক মারপিটর করে গুরুতর আহত করে। এতে মাদব চন্দ্র অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে অন্য এক ভারতীয় নাগরিকের খবরে পরিবারের লোক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্য সাময়িক উত্তেজনা বিরাজ করলে বিজিবি এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে ১৫বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর সিইও লেঃ কর্নেল মেহেদি বলেন, লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশী যুবক মাদব চন্দ্র ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সীমান্তে বর্তমানে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।