ঝালকাঠিতে ১৪৪ ধারা জারী করে বাদী পক্ষই বিরোধীয় জমিতে নির্মান কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মুরাশাতা গ্রামে ঘটানাস্থলে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এদিকে বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করে একই জমিতে বাদী পক্ষ রিফাত শরীফের বিরুদ্ধে ঘর তৈরীর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদা দিলে বিবাদী পক্ষ শওকত শরীফের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা ও তাদের মিরুদ্ধে মামলা করার হুমকী দিচ্ছেও বলে অভিযোগ করেন শওকত শরীফের পরিবার। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শওকত শরীফের ভাই জামাল শরীফ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন সদর থানার এসআই মো. জুয়েল।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার মুরাশাতা গ্রামের শওকত শরীফ বলেন পিতার ভিটায় আমরা বসবাস করে আসছি। আমার ছেলে সোহেল শরীফ ঢাকায় ব্যাবসায়ী আমাদের পুরাতন ঘরটি সংস্কার করতে গেলে একই বাড়ির কাওছার শরীফ, জুয়েল শরীফ ও রিফাত শরীফ আমাদের বাধা দেয়। বাধ্য হয়ে স্থানীয় গর্নমান্য ব্যক্তিবর্গের সরনাপন্ন হলে তাদের উপস্থিতিতে বাড়ির জমি মেপে সিমানা নির্ধারন করা হয়। আমি আমার পৈত্রিক ভিটায় ঘর সংস্কার করতে গেলে একই বাড়ির কাওছার শরীফ, জুয়েল শরীফ, রিফাত শরীফ ও জেসমিন বেগম মেয়েদের গালাগাল করে মারতে উধ্যত হয়। কাজের লোকদের গালাগাল করে কাজে বাধা দিয়ে তারিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কাওছার শরীফ বাদি হয়ে ৪ মার্চ ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। আদালতে এই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। আমরা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কাজ বন্ধ করলেও একই দাগে রিফাত শরীফ তাদের ঘরের পাশে আরও একটি ঘর তোলার কাজ শুরু করে। আমরা এ বিষয়ে পুলিশের কাঝে জানিয়েছি। পুলিশ তাদের কাজ করতে তাদের কাজ করতে নিষেধ করার পরও থেমে নাই তাদের কার্যক্রম।
এদিকে আমার দুই মেয়ে, বৃদ্ধ স্ত্রী নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন। আমার পৈত্রিক ভিটায় আমি শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করতে চাই।
অপর দিকে এঘটনার স্বাক্ষী জুয়েল শরীফ, জেসমিন বেগম ও রিফাত শরীফ বলেন, আমরা এই জমি আবারও মেপে কাজ শুরু করতে বলেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শোনায় আদালতের ধারস্থ হয়েছি। আমাদের পক্ষ না বুঝে কাজ শুরু করে করেছিলো সেটা নিষেধ করেছি।