হলিউডের অন্যতম আলোচিত এবং বহুচর্চিত চলচ্চিত্র ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’-এর সিকুয়েল অবশেষে নির্মাণের পথে। তবে এবার চমক রয়েছে একাধিক। প্রথমত, সিনেমাটির মূল নায়ক ব্র্যাড পিট আবারও ফিরছেন তার পুরোনো চরিত্র ‘ক্লিফ বুথ’ হিসেবে। দ্বিতীয়ত, পরিচালনার আসনে থাকছেন না কোয়েন্টিন টারান্টিনো—তাঁর জায়গা নিচ্ছেন বিখ্যাত পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার।
২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মূল ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন টারান্টিনো, যেখানে ব্র্যাড পিটের পার্শ্বচরিত্র ‘ক্লিফ বুথ’ তাকে এনে দেয় অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। এবারও সেই চরিত্রেই তাঁকে দেখা যাবে, তবে নতুন আঙ্গিকে, ভিন্ন গল্পে। ভ্যারাইটি জানায়, সিকুয়েলে টারান্টিনো সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়ছেন না, বরং থাকছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চমক, এটিই হতে পারে টারান্টিনোর পূর্বে ঘোষিত ‘দ্য মুভি ক্রিটিক’ নামের বাতিল হয়ে যাওয়া ছবির চিত্রনাট্যের নতুন রূপ। নতুন গল্পটি ১৯৭০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত, যেখানে ব্র্যাড পিট অভিনয় করবেন এক চলচ্চিত্র সমালোচকের চরিত্রে, যে একটি পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিনে লেখালেখি করে।
সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিবেশনায়ও এসেছে বড় পরিবর্তন। আগেরবার ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ মুক্তি পেয়েছিল সনি পিকচার্সের ব্যানারে। কিন্তু এবার সিকুয়েলটির স্বত্বাধিকারী টারান্টিনো নিজেই—এবং তিনি একে নেটফ্লিক্স-এর সঙ্গে নির্মাণ করছেন। ফলে, সিনেমাটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, প্রেক্ষাগৃহে নয়। এটি মুক্তি কৌশলেও নতুনত্ব আনছে, যা হলিউডের প্রচলিত ধারার বাইরে এক সাহসী পদক্ষেপ।
যদিও ব্র্যাড পিটের উপস্থিতি নিশ্চিত, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় সিনেমাটির মূল দুই চরিত্র রিক ডাল্টন (লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও) ও শ্যারন টেট (মার্গট রবি)-এর ফিরে আসা। এই অনিশ্চয়তা থাকলেও সিনেমাপ্রেমীদের উত্তেজনায় কোনো ঘাটতি নেই।
এর পেছনে আরেকটি বড় কারণ—এই ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবার এক হচ্ছেন ব্র্যাড পিট ও ডেভিড ফিঞ্চার জুটি। তাদের পূর্ববর্তী কাজের তালিকায় রয়েছে ‘সেভেন’, ‘ফাইট ক্লাব’ এবং ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন’, যেগুলো দর্শক ও সমালোচকদের মাঝে আজও প্রশংসিত। স্বভাবতই, নতুন এই প্রজেক্ট ঘিরে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে।
সব মিলিয়ে, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’-এর এই সিকুয়েল শুধু একটি সিনেমা নয়—এটি হয়ে উঠতে পারে আধুনিক হলিউডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট, যেখানে পুরোনো গৌরব আর নতুন সাহসী চিন্তার এক মোহনীয় মেলবন্ধন ঘটতে যাচ্ছে।