নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড়ে অবস্থিত পাইকারি মাছের আড়তে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রির অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফুজ্জামান সেখানে অভিযান চালিয়ে একশ’ কেজি পিরানহা জব্দ করেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভোরে এই অভিযানে আরো অংশ নেন, উপজেলা মৎস্য সমপ্রসারণ কর্মকর্তা একেএম জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ফরিদুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাজিব আহমেদ।
পিরানহা মাছ অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ও দেশীয় মাছের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ মাছ খেলে মানবদেহের পাকস্থলীর কার্যক্রম ব্যাহত, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও মূত্রনালিতে প্রদাহ হতে পারে। তাই ২০০৮ সালে এর উৎপাদন, বংশবৃদ্ধি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে একশ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ী অবৈধভাবে এই মাছের চাষ করে এই পাইকারি মাছের আড়তে বিক্রি করে আসছেন। এখান থেকে কিনে উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে এসব নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে এসব মাছ উৎপাদনকারি ও বিক্রির সাথে জড়িত আড়ৎ ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। সাধারণ মানুস কম দামে পেয়ে ও এই মাছের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে না জানায় দেদারছে কিনছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম আসার খবর পেয়ে ওই মাছ বিক্রেতা পালিয়ে যায়। পরে জব্দ করা মাছগুলো উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে মাটিতে পুঁতে ধংস করা হয়।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর পাইকারি মৎস্য আড়তের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই ব্যবসায়ী পালিয়ে যান এবং তিনি আড়ৎদার সমিতির সদস্য নন। স্থানীয়রা জানান, সমিতির সদস্য না হলে কাউকে এখানে মাছ কিনতে দেয়া হয়না। অবিলম্বে পিরানহা ব্যবহার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।