রাজশাহী মহানগরীতে ছিনতাই, চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা জয় এবং কথিত ‘ইমন গ্যাং’ চাঁদাবাজ গ্রুপের নেতা ইমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৭টায় নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন বড়কুঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাই, চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা মো: আবির হোসেন ওরফে জয় (২৬), সে রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকার মৃত শফিউল ওরফে শরিফুল ইসলামের ছেলে, মো: ইমন শাহারিয়া (২২), সে একই এলাকার মো: মাজদার আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, ভূক্তভোগী মো: নান্টু মোল্লা (২৭), মো: সোহাগ (২২) ও মো: সুজন (৩০) পেশায় অটোরিক্সা চালক। তাদের গ্রামের বাড়ী নওগাঁ জেলায়। তারা নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় অবস্থিত গ্যারেজে আশ্রয় নিয়ে প্রায় ৫-৬ মাস যাবত কাজ করে আসছে। ওই এলাকায় বিভিন্ন সময়ে আসামীদের একটি গ্রুপ নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। তাদের বাড়ি নগরীর বাইরে হওয়ায় আসামীগন তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা আদায় করতো
রোববার নান্টু, সোহাগ ও সুজন-সহ ৪/৫ জন আসামীরা ভূক্তভোগীর অটোরিক্সা গতিরোধ করে নগদ-৫টাকা চাঁদা দাবী করে এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা এবং দৈনিক ১০০ টাকা হারে চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি-অপারগতা জানালে আসামীরা তাদের এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণ নাশের ভয়-ভীতি দেখায়।
এ ঘটনায় মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন বড়কুঠি ‘ল’ কলেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাদাবাজি সহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয় ও মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকা কথিত ‘ইমন গ্যাং’ চাদাবাজ দলের নেতা ইমন‘কে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজ সদস্যের উভয়ের নামেই একাধিক মাদক ও ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তারা সকলেই রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় অপরাধ চক্রের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময় অনেক ভুক্তভোগী মূলত রিক্সা, অটোরিক্সা ও ভ্যান চালকের নিকট দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবী ও চাঁদা আদায় করে আসছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে র্যাবের আভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যপারে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।