আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্ণীপুরের রামগতি উপজেলার চর সেকান্দর সফিক একাডেমীর গৌরব ও ঐতিহ্যের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব সুবর্ণ জয়ন্তী। এ উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পূনর্মিলনী ঘটে। বুধবার সকাল থেকে বিদ্যালয় অঙ্গনে নতুন পুরোনো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়। গানবাজনায় মেতে ওঠে তারা। মিলন মেলায় পরিণত হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রাঙ্গন। এ উপলক্ষে নানাবিধ সাংস্কৃতিক আয়োজন আর নবীন-প্রবীণদের প্রাণের মেলায় মেতে ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির গৌরব ও ঐতিহ্যের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
সকালে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন। ১৯৮৭ সালে মানবিক শাখা থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কলেজ শিক্ষক আবদুল্যাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি), মো. কবির হোসেন, সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন ইসতিয়াক আহম্মেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
চর সেকান্দর সফিক একাডেমী ১৯৭৫ সালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার প্রয়াত মো. সফিক উদ্দিন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিম্ন মাধ্যমিকে প্রাথমিকভাবে পাঠদান শুরু করে। পরে ১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। এই বছরেই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি ৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। আবাদযোগ্য আরও ৫ একর জমি রয়েছে বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ৪ তলা ও ২ তলা ২টি ভবন ছাড়াও একটি টিনের আধাপাকা ঘর আছে। বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। প্রত্যেক বছর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি খেলাধুলায় ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সাথে সুনাম অর্জন করে চলেছে।