বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রূমিন ফারহানা বলেছেন, ৯০ ভাগ বিএনপি সমর্থিত সরাইলের ও বড়দেওয়ান পাড়ার উন্নয়নের আজ এই অবস্থা কেন? ২ ঘন্টার রাস্তা আসতে কেন ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়? ভীষণ ভাবনার বিষয়। আপনাদের তিলে তিলে পরিশ্রমের ফলে বিএনপি আজকে এই জায়গায় আসছে। এই জায়গাকে বিএনপি’র ঘাটি করার পেছনে আনোয়ার মাস্টারের অনেক অবদান রয়েছে। দু:সময়ে আপনারা দলের জন্য হাজার ঝুঁকি নিয়েছেন। আমিও অনেক বড় ঝুঁকি নিয়েছি। আমি বা আপনারা কি মামলা বাণিজ্য, বালু বিক্রি, মাটি কাটা, মাটি বিক্রি, দখল ও অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত আছি? অবশ্যই না। তাই আপনারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমার পেছনে থাকবেন। যাতে দল বুঝতে পারেন আমার বড় শক্তি সরাইল আশুগঞ্জের মানুষের ভালবাসা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন শক্তিই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না। মনে রাখবেন কোন রাজনীতিবিদ হাজার মহলের বাসায় থাকতে পারেন না। যদি থাকেন তবে প্রশ্ন করবেন সেই টাকার উৎস কী? আমি আপনাদের মেয়ে বোন মায়ের মত। আপনারা সকলে মিলে আমার হাতকে শক্তিশালী করবেন। যাতে সামনের নেতৃত্ব পায় পায় করে হিসেব দিয়ে কাজ করতে পারে। তিনি বড়দেওয়ান পাড়া গ্রামের একটি ড্রেন দ্রূত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাদের দোয়া ও সমর্থনে এখানকার উন্নয়নে যা যা করার আমি সবই করব ইনশাল্লাহ। মনে রাখবেন আগামীর বাংলাদেশ হবে বিএনপি’র, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদরের বড়দেওয়ান পাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে দেওয়ান দীঘির পাড় সংলগ্ন খালি জায়গায় আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা বলেছেন ব্যারিস্টার রূমিন ফারহানা। এর আগে বড়দেওয়ান পাড়ার যুব সমাজ ও মুরব্বীরা প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেছেন। মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ মজনুর সঞ্চালনায় ও মো. আব্দুল আওয়াল ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল জব্বার, বিএনপি নেতা মো. আফজল হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম সেলু, সরাইল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান খান, যুবদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন উজ্জল, বড় দেওয়ান পাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর ঠাকুর, আলাল উদ্দিন জুরূ, রফিকুল ইসলাম রেনু, মো. আনোয়ার ঠাকুর ও শেখ মোহাম্মদ আলী।