সুন্দরগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত

এফএনএস (মোঃ ইমদাদুল হক; সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা) : : | প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
সুন্দরগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা দোসরদের দখলে পড়ায় অধিকাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী ভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত। 

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদ সৃষ্টি করে প্রতিটি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ায় সরকারী ভবন সংকটে জরাজীর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। এদিকে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় না করে নিজেদের ইচ্ছামত তা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। এতে করে কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ৯১টি, মাদ্রাসার সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছে ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০টি মাদ্রাসা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, অনেক ভাল মানের প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভাবে কোন নতুন ভবন হয়নি। তবে তুলনামুলক কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রতিষ্ঠানগুলো এমপির পিএস এর মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন হয়েছে। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের সংঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এখানে পালাক্রমে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ পন্থি এমপি ছিল। তবে একবার জামায়াতে এমপি নির্বাচিত হয়। একারণে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ এমপিদের মতাদশের বাহিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ রামজীবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াত পন্থী হওয়ায় তাঁকে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেক শিক্ষক জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগালেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা দোসরদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কোন প্রতিষ্ঠান। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দোসরদের ক্ষমতার দাপটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহেনুর জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পর পর পরিবর্তন মামলা থাকায় উন্নয়ন হয়নি। ইমামগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুর আলম জানান, তার মাদ্রাসার সভাপতি আওয়ামীলীগ পন্থি হওয়ায় তিনি সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কারণে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ বিষয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো: বেলাল হোসেন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৎকালীন সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও তালিকার ওপর ভিত্তি করে ভবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একারণে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে অধিকাংশ ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে