এমতেই সরবরাহ কম, তার উপর বোতলজাত সয়াবিন তেল কন্টিনারে ঢেলে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে খোলা বা লুজ তেল লিটারে ২০ টাকা বেশি হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলে। গতকাল শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আজ ১ মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেল চাহিদা মত পাচ্ছি না। মার্কেটিং এ যারা রয়েছে তারা বোতলজাত সয়াবিন তেলের অর্ডারই নিচ্ছে না। আবার জোর করে ২’শ কাটুন তেলের অর্ডার নিলেও দিচ্ছে ১’শ কার্টুন। আগে অর্ডার দেওয়ার ১/২ দিনের মধ্যে তেল পেলেও এখন ৭ দিনেও মেলছে না।
ভেড়ামারা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফাদার এন্ড সন্স’র স্বত্বাধিকারী দিপু জানিয়েছেন, রুপচাঁদা, মুসকান, তীর, বসুন্ধরা, সেনা, পুষ্টি সহ সকল বোতলজাত সয়াবিন তেলই মার্কেটে নেই। বাজারের অন্তত ৯০ ভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। তিনি জানান, খোলা বা লুজ তেল ১ লিটার পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৮২ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা। অথচ বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৫- ১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাধারন ক্রেতারা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদা মত বোতলজাত সয়াবিন তেল সব সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বোতলের চেয়ে খোলা বা লুজ তেলের দাম বেশি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বোতল থেকে কন্টিনেয়ারে ঢেলে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। যা দেখার কেউ নেই। ভেড়ামারা পৌর এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান মৃধা জানিয়েছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা বোতলজাত তেল কন্টিনিয়ারে ঢালা সহ বোতলের গায়ের দামও মুছে ফেলে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। ২ লিটার রুপচাঁদা সয়াবিন তেল ৩৩৪ টাকা গায়ের দাম লিখা থাকলেও সেটা মুছে ফেলে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছে। ব্যবসায়ীদের এমন আচারন সত্যিই খুব দুঃখজনক।
ভেড়ামারা পরিবেশক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও পুষ্টি সয়াবিন তেলের ডিলার আসাদুজ্জামান কচি জানিয়েছেন, কোম্পানী থেকেই আমাদের চাহিদানুযায়ী সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তারাই অর্ডারই নিচ্ছে না। বলছে সয়াবিন তেল নেই। বোতলজাত সয়াবিন ১ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা আর খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা। এই অসম বাজার ব্যবস্থার কারনেই বোতলজাত সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।