পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলের জমিতে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজের এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে বাজার মন্দা হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা এ নিয়ে পেঁয়াজ চাষীরা চিন্তিত। সরেজমিন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বিশাল বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল জুড়ে কেবল আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ শোভা পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে অন্য ফসল আবাদ করা হলেও তার পরিমাণ খুবই কম। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৫‘শ ৭০হেক্টর জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলে আবাদ করা কিছু কিছু জমির পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে গোটা চরাঞ্চলের জমির পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে। উপজেলার চরমানিকদীর গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন বর্ষার পানিতে চরাঞ্চলের জমিতে পলি জমে মাটির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর ১৫/২০দিন পরেই উপজেলার অধিকাংশ জমির মূলকাটা পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। শেষ মুহূর্তে পেঁয়াজ চাষীরা মাঠে মাঠে পেঁয়াজ পরিচর্যা করছে। তবে মূলকাটা পেঁয়াজের বর্তমান বাজারে উৎপাদন খরচ বাদে তেমন একটা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন এ বছর ১বিঘা জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে ৬০/৭০মণ। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতি মণ আগাম পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬‘শ টাকা দরে। এ হিসাবে ১বিঘা জমির উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ বাদে তেমন একটা লাভ হবেনা। ফলে পেঁয়াজের বর্তমান এ বাজারে পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন গত বছরের চেয়ে এ বছর আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদন খরচ অনুযায়ী বাজার আরও ভাল হওয়া প্রয়োজন।