দেশে দুর্নীতি বেড়েছে; প্রতিরোধে কঠোর হতে হবে

এফএনএস : | প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
দেশে দুর্নীতি বেড়েছে; প্রতিরোধে কঠোর হতে হবে

দুর্নীতিবিরোধী বৈশ্বিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বিচারে ২০২৪ সালে দুর্নীতির নিরিখে বাংলাদেশের আরো কিছুটা অবনমন হয়েছে। এ বছর বিশ্বের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দুই ধাপ অবনমন হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হয় ১৪তম। বিশ্বে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বা তালিকার নিচে থেকে এক নম্বরে আছে দক্ষিণ সুদান। নিচের দিক থেকে ১৪তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে পঞ্চম সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। বিশ্বে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হয়েছে ডেনমার্ক। জার্মানির বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতিবছরই দুর্নীতির ধারণাসূচক বা সিপিআই প্রকাশ করে। ১৯৯৫ সাল থেকে টিআই বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ প্রথম তালিকাভুক্ত হয় ২০০১ সালে। সেই সূচকে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের কিছুটা উন্নতি হলেও তা নিতান্তই নগণ্য। সম্প্রতি ‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০২৪’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০২৪ সালের সিপিআইয়ে ১৮০টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের সিপিআই অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র দেশ ভুটানের স্কোর ২০২৩ সালের তুলনায় ৪ পয়েন্ট উন্নতি হয়েছে। অবশিষ্ট সাতটি দেশের স্কোরই ১ থেকে ৩ পয়েন্ট অবনমন হয়েছে। এর মধ্যে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ৩ পয়েন্ট, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ২ পয়েন্ট এবং বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের স্কোর ১ পয়েন্ট করে অবনতি হয়েছে। ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভুটান ও নেপালের অবস্থানের যথাক্রমে ৮ ধাপ ও ১ ধাপ উন্নতি হয়েছে এবং অবশিষ্ট ছয়টি দেশের অবস্থানের ২ থেকে ৬ ধাপ পর্যন্ত অবনতি হয়েছে। দুর্নীতির ব্যাপকতা দেশের নাগরিকদের ভোগান্তির কারণ হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়। সুশাসনের অভাবকেই দুর্নীতির প্রধান কারণ মনে করা হয়। আমরা আশা করি, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দ্রুতই সুশাসন পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) অন্যান্য দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW