রবিবার সিন্দুরমতী মেলা

ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খাজনা সহ সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ

এফএনএস (প্রহলাদ মণ্ডল সৈকত; রাজারহাট, কুড়িগ্রাম) : : | প্রকাশ: ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৬ এএম
ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খাজনা সহ সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ

 রবিবার (৬এপ্রিল) সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের রাম নবমীতে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী সিন্দুরমতী মেলা বসবে। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ণার্থীরা পুকুরে স্নান ও পূজা করবেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে অতিরিক্ত চাঁদা, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের কারণে এ মেলার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। তাই মেলার  আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য মেলায় আগত দোকান মালিকের নিকট থেকে ইজারাদারের খাজনা সহ সকল প্রকার চাঁদা, জুয়া এবং বিশৃংঙ্খলা মুক্ত মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৩এপ্রিল) মেলার ইজারাদার ও মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তপন কুমার মন্ডল বলেন, আসছে ২৩ চৈত্র রবিবার (৬ এপ্রিল) লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তে অবস্থিত এতিহ্যবাহী সিন্দুরমতী পুকুর পাড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের রাম নবমী তিথিতে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ বছরে এ মেলায় আগত দোকান মালিকের নিকট থেকে খাজনা আদায়ের নামে জুলুম নির্যাতন করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার ফলে মেলায় মানসম্মত দোকান আসা বন্ধ হয়ে গেছে। অপর দিকে জুয়া, মদ ও ছিনতাই এর কারণে দূরের দর্শনার্থী আসা  হ্রাস পেয়েছে। মেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন মাষ্টার জানান, হিন্দু সম্প্রদায় সুষ্ঠভাবে পুকুরে স্নান ও পূজা অর্চনা করা এবং মেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সাবেক উপমন্ত্রী ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর পরামর্শ সহ নির্দেশক্রমে এবার মেলায় আগত দোকান মালিকের নিকট থেকে ইজারাদারের খাজনা সহ সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ থাকবে এবং সুশৃঙ্খল ভাবে মেলা পরিচালনার জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশা-পাশি মেলা দেখভাল করবেন। মেলার পার্শ্ববতী ইন্দ্র কমল রায় বলেন, অতীতে মেলার ইজারাদারের কাছ থেকে কিছু যুবক বিভিন্ন গলি ডেকে নিয়ে দোকান মালিকের নিকট থেকে জুলুম নির্যাতন করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন, কেউ দিতে না পারলে তাদের দোকানের গুড়ের টিন, লোহার জিনিসপত্র এমনকি ঘরের চাল খুলে নিয়ে যেত, এ কারণেই মেলার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। 

গত বছর মেলায় দোকান নিয়ে আসা পরিমল কর্মকার বলেন, গেলবার মেলায় ২৫ হাজার টাকার লোহার জিনিষপত্র নিয়ে দোকান দিয়ে ইজারাদারকে ৪ হাজার টাকা দিয়েছিলাম, তাতে মানেন নাই, জুলুম করে প্রায় ৮হাজার টাকার মাল নিয়ে গেছে, বলছিল আরও ৪হাজার টাকা নিয়ে ইজারাদার অফিসে আসবে, আমার যাইতে দেরি হওয়ায় ইজারাদার বলেছে, তোর আসতে লেট হয়েছে, লোহার জিনিস যার যার পছন্দ হয়েছে নিয়ে গেছে। মেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য হীরা লাল রায় ঈশোর জানান, দুলু স্যারের তত্বাবধানে মেলা পরিচালনা হলে, অতিরিক্ত খাজনা, বিভিন্ন চাঁদা মদ জুয়া ছিনতাই এবং অশ্লীল নৃত্য না থাকলে সিন্দুরমতী মেলার ঐতিহ্য আবারো ফিরিয়ে আসবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে