ডাকাত সন্দেহে আটককৃত পাঁচজনকে ট্রলারের যাত্রী দাবি করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে শনিবার বেলা এগারোটার দিকে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ১৯ মার্চ দিবাগত রাত ১১ টার দিকে শ্রীপুর ঘাট থেকে গাগুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে ৩০ জনের মত যাত্রী নিয়ে ট্রলার ছাড়েন আনোয়ার মাঝি। যাত্রীবাহী ট্রলারটি মাঝ নদীতে অবস্থানকালে ডাকাত সন্দেহে ছয়জন যাত্রীকে ধরে নিয়ে যায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। ডাকাত সন্দেহে আটককৃত মামুন মোল্লা, পান্নু মোল্লা, নাজমুল হাওলাদার, জুয়েল শেখ, আনোয়ার হাওলাদার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং দিনমজুর। ঘটনার পরপরই আটকের বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো মিথ্যে ডাকাতি মামলা সাজিয়ে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে ভোলার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তাই বাধ্য হয়ে ডাকাত সন্দেহে আটক নিরীহ যাত্রীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক ইউপি সদস্য মান্নান শেখ, আব্দুল গাফফার, মিন্টু মৃধা, নুরনবী চৌকিদার, কাজী আবু তালেবসহ স্থানীয় বাসিন্দা ও আটককৃতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের (ভোলা) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কমান্ডার এইচএমএম হারুন-অর রশিদ বলেন, ওই এলাকায় নিয়মিত ডাকাতির খবরে আমরা জেলে সেজে অভিযান পরিচালনা করি। তখন জলদস্যুরা ৮/১০টি ট্রলার আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় একটি ট্রলার থেকে পাঁচজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কোস্টগার্ডের এ বক্তব্যে তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরে বাসিন্দারা। তাদের দাবি কোস্টগার্ড নিজেদের সফলতার গল্প ছড়াতে নিরপরাধ ট্রলার যাত্রীদের আটকের পর ডাকাত আখ্যা দিয়েছেন।