বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হচ্ছে। সরকারি তিন দিনের ছুটির পাশাপাশি সাপ্তাহিক ও বার্ষিক ছুটি সমন্বয়ের মাধ্যমে অনেক শ্রমিক সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, শ্রম আইন অনুসারে প্রতিটি কারখানা শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনার পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে ছুটির সময় নির্ধারণ করেছে। বিজিএমইএর তথ্যমতে, ২৬ মার্চ থেকে ১৬১টি, ২৭ মার্চ থেকে ৩৭৪টি, ২৮ মার্চ থেকে ৬৪৮টি এবং ২৯ মার্চ থেকে ৯২৪টি কারখানা ছুটিতে যাবে।
এদিকে, ২০৭টি কারখানা এখনও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি, যদিও রমজানের ২০ তারিখের মধ্যে তা পরিশোধের নির্দেশনা ছিল। এছাড়া, ২৪টি কারখানা ফেব্রুয়ারির এবং একটি কারখানা জানুয়ারির বেতন পরিশোধ করেনি। বিজিএমইএ-এর তথ্য অনুযায়ী, বেতন ও বোনাস পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় ১১টি কারখানাকে ‘অস্থিরতার ঝুঁকিতে’ চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, সরকারি ছুটি তিন দিন থাকলেও অনেক শ্রমিক অতিরিক্ত ছুটি নিচ্ছেন। কেউ সাপ্তাহিক ছুটি আগাম ব্যবহার করছেন, আবার কেউ ঈদের পর তা পূরণ করবেন। তবে, কাজের চাপের কারণে কিছু কারখানা অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারছে না।
সরকার ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে। ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি থাকায় সরকারি চাকরিজীবীরা মোট ৯ দিনের ছুটি পাবেন। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগামী ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।
দেশে বর্তমানে ৩,৫৫৫টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় প্রায় ৩০ লাখ ৫৩ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন বলে ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) জানিয়েছে।