চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচ থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার সেই ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পিবিআই। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে গলাটিপে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মরদেহটি কম্বল পেচিয়ে সেখানে ফেলে গিয়েছিল প্রেমিক। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতারকৃত ঘাতকের নাম নয়ন বড়ুয়া। সে রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা এলাকার জয় কুমার বাড়ির মৃত মিলন বড়ুয়ার ছেলে। কেডিএস গার্মেন্টেসের সুপারভাইজার পদে কর্মরত এই যুবক দুই ছেলে সন্তানের জনক। তাদের নিয়ে গ্রামে থাকেন স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর জানান, ভিকটিমের নাম জোৎস্না বেগম। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক। এ ঘটনায় নগরের খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বড় বোন তৈয়বা বেগম।
মামলা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম জোৎস্না বেগম ও আসামি নয়ন বড়ুয়া দুজনেই শহরের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় কেডিএস গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কর্মস্থলে পরিচয় সূত্রে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। পরে তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক কক্ষের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। পরে ভিকটিম জোৎস্না বেগম আসামি নয়ন বড়ুয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে নয়ন বড়ুয়া তাতে অস্বীকৃতি জানান। গত ২২ মার্চ সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে পূবের্র বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জোৎস্নাকে গলাটিপে হত্যা করে নয়ন বড়ুয়া। হত্যার পর আসামি নয়ন বড়ুয়া জোৎস্না বেগমের মরদেহটি কম্বল পেচিয়ে দড়ি ও ওড়না দিয়ে বেঁধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রিকশা ও অটোরিকশা যোগে লালখানবাজার এনে এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।