সেনাবাহিনীর পোশাকে রংপুরের একটি শপিং মলে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ফজলে রাব্বী। তার সঙ্গে বেসামরিক পোশাকে ছিলেন আরো ৪ জন। সেই শপিং মলে কেনাকাটা করছিলেন সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুম। হঠাৎ তার চোখে পড়ে পোশাকধারী ফজলে রাব্বীকে। কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলেই ঘটে বিপত্তি। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও নিজেকে রক্ষা হয়নি সেনাবাহিনীর পরিচয় দেয়া ভুয়া মেজর ফজলে রাব্বী। রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফজলে রাব্বী আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টকি, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল, নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৫ টাকাসহ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণামূলক বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ফজলে রাব্বী ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠাল ডাংগী গ্রামের মোকতার আলমের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুম জানান, ঈদের কেনাকাট করতে জাহাজ কোম্পানী মোড় সংলগ্ন রয়্যালটি মেগা মলে গিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত যুবক ফজলে রাব্বিসহ বেসামরিক পোশাকে আরো ৪ জনকে দেখতে পান তিনি। এসময় ওই পোশাকধারীর পরিচয় জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ভুয়া সেনাবাহিনী বলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ফজলে রাব্বিকে আটক করে। পরে নিকটবর্তী সেনাক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফজলে রাব্বী সেনাবাহিনীর সদস্য না বলে জানা যায়। পরবর্তীতে প্রতারক ফজলে রাব্বীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে চালিয়ে তার সঙ্গে থাকা পালিয়ে যাওয়া বাকি ৪ জনকে আটক করা হয়।
আটক ফজলে রাব্বী জানায়, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবকদের সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এদিকে ভুয়া মেজরকে আটকের ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুমের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ভোক্তা সাধারণসহ স্থানীয়রা।