সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

এফএনএস (কাজল বরণ দাস; পটুয়াখালী) : : | প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

 পটুয়াখালী সদর উপজেলায় বদরপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও লুটপাটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত ৩১ মার্চ বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজ এবং জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে মামলার অন্যতম আসামী বদরপুর ইউপি  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল, তার ভাই লোকমান এবং গ্রাম পুলিশ সদস্য ইলিয়াস উল্লিখিত মিডিয়ার সাংবাদিক  মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে হাত পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।  এ ঘটনায় বুধবার (০২ এপ্রিল) পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই সাংবাদিক।

সাংবাদিক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দৈনিক যুগান্তর, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ এর পটুয়াখালী জেলা  প্রতিনিধি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৩১ (মার্চ) দৈনিক যুগান্তর  পত্রিকায় "আমার চোখের সামনে বাবুল আমার ছেলের বউকে জাপটে ধরেছে ' শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়। নিউজটি পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নামে প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে  গত ২ এপ্রিল বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর স্লুইজগেট বাজারে এসে প্রকাশ্য দিবালোকে,,,,,,, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল এবং তার ভাই লোকমান ও ঐ এলাকার চৌকিদার ইলিয়াস লোকজন নিয়ে মহড়া দিয়ে চিৎকার করে সাংবাদিক মোস্তাক নিউজ করেছে তাই ওর হাত পা কেটে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।এমনকি প্রান নাশের হুমকির উপযুক্ত প্রমানাদি পুলিশের হাতে রয়েছে তদন্তের স্বার্থে। এ ঘটনায় জীবন নাশের এবং পারিবারের উপর হামলার আশংকা করর নিরাপত্তা চেয়ে এবং হুমকিদাতাদের গ্রেফতার পুর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক মোস্তাক।

এদিকে উল্লেখ্য, উক্ত সংবাদ প্রকাশের পরপরই ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ি ও কুঠারকুড়ে,,,,,,,তারিখ রাতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় আরো একটি মামলা চলমান আছে।

পটুয়াখালী সদর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মদ বলেন, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমানকে হাত পা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছে এমন বিষয়ে একটা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে জরুরী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আওয়মীলীগের দোষর পরবর্তীতে মেম্বার থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া বাবুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক পুলিশ অফিসার কে গুরুতর কুপিয়ে আহত ও হামলা মামলা সহ  পটুয়াখালীর আদালতে বর্তমানে একাধিক  মামলা চলমান রয়েছে। সেসব মামলায় বাবুল একাধিকবার হাজতবাস করেছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে