সাতকানিয়ার কাঞ্চনায় কবর জিয়ারত, পরিবারকে সহায়তা প্রদান

এফএনএস (মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন; সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম) : : | প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
সাতকানিয়ার কাঞ্চনায় কবর জিয়ারত, পরিবারকে সহায়তা প্রদান

সাতকানিয়া - লোহাগাড়া হতে দু'বার নির্বাচিত সাবেক এম. পি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর আলহাজ্জ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধ শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার কারণে পরিকল্পিতভাবে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে আওয়ামী খুনীচক্র ও তাদের দোসররা হত্যা করেছে। নেজাম ও ছালেক আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে বছরের পর বছর নিজের এলাকায় আসতে পারেনি। তাদের মত আরো শত শত মজলুম ঘরছাড়া - ভিটাছাড়া অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কাঞ্চনা - এঁওচিয়ায় বর্বরতার স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল। সেই বর্বরতার বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলায় সন্ত্রাসীরা নেজাম - ছালেককে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করেছে।

তিনি গতকাল ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদে জোহর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে নিহত জামায়াতকর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেকের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুনীরা নেজাম ও ছালেককে নির্মমভাবে খুনের পাশাপাশি তাদের বিষয়ে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। তাদের চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করেছে। বিষয়টা নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্র পর্যন্ত এখন ক্লিয়ার হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে। এ বিষয়ে সংগঠন আরো পদক্ষেপ নিবে। আশা করি প্রশাসনের মাধ্যমেও সঠিক বিষয়টা ক্লিয়ার হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ সোমবার রাত দশটার দিকে সাতকানিয়ার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। তাদেরকে একটা বিচারের মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে ডাকাত এসেছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মব সৃষ্টি করে হত্যার পর জিহ্বা কেটে নেয়া হয়।

এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক এবং তার বাহিনীকে দায়ী করে আসছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী।

ঘটনার পরদিন জানাযায় জামায়াতের উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অংশ নিলেও এলাকার সাবেক এম. পি শাহজাহান চৌধুরী যাননি। তেইশ দিন পর আজ তিনি দুই কর্মীর কবর জিয়ারত করলেন এবং তাদের পরিবারে গিয়ে শান্তনা ও নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করলেন। কবর জিয়ারতের পর মোনাজাতের সময় চৌধুরীর অঝোর ধারায় কান্নার দৃশ্য সবাইকে কাঁদিয়ে দেয়।

তিনি দুপুরে বাঁশখালীর গুনাগরি দিয়ে ঢ়ুকে প্রথমে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা কাজির জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন। অত:পর মসজিদের পাশে অবস্থিত আবু ছালেকের কবর জিয়ারত করেন। এরপর আবু ছালেকের বাড়িতে যান। অতঃপর তিনি নেজাম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারে গমন করেন। তিনি উভয় পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহতদের শিশুদের কোলে নিয়ে দুআ করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. নুরুল হক, বর্তমান নায়েবে আমীর আব্দুস সোবাহান, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আয়ুব আলীসহ কাঞ্চনা ও এঁওচিয়ার কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে