সমাজসেবা অফিসের বারান্দার এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ষাটউর্দ্ধো বৃদ্ধ পিয়ার উদ্দিন জানান, তিনি ৬ মাস থেকে ভাতার টাকা পাননা। তিনি জানান, ৪ বার অফিসে এসেও পাননি ভাতার টাকা। প্রতিবার অফিসে আসতে তার খরচ হয় ৪০ টাকা। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, তার কোন ছেলে নেই তিন মেয়ে। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েগুলো বারবার সেমাই চিনি পাঠাতে বলছে। তা-না হলে শ্বশুর বাড়ির লোক অত্যাচার করছে। টাকা পেলে সেমাই চিনি পাঠাবেন বলে মেয়েদের জানিয়েছেন। কিন্তু এখন তো টাকা পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। মেয়েগুলোকে কিভাবে মুখ দেখাবেন।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় বয়ষ্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৪০৫ জন। তার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ৮০ জন সার্ভার জটিলতার কারণে ভাতা পাননি। সম্প্রতি তৃতীয় ধাপে একই সমস্যার কারণে ১৩শ’ জন এখন পর্যন্ত ভাতার টাকা পাননি।
হাকিমপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, এম আই এস (ম্যানেজম্যান্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সার্ভার জটিলতার কারণে দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ৮০ জন ভাতা পাননি। সেজন্য তৃতীয় ধাপে নতুন সার্ভারে তাদেরসহ সকল ভাতা ভোগীদের ভাতা দেয়ার প্রস্তুতি নেয় ছিল ।কিন্তু গত ১২ মার্চ সামাজিক নিরাপত্তা শাখা (সা নি শা) পুরাতন এম আই এস সফটওয়ারে প্রেরল দেয়া নির্দেশ দেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে ১৩শ’ জনের নাম পাঠাতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছে। ঈদের আগে না পেলেও তারা ঈদের পরে দুই ধাপে বকেয়া ভাতার টাকা পাবে।