ট্রাক থেকে ঝরে পড়া মাটির প্রলেপের উপর বৃষ্টি পড়ায় পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ- যশোর, কোটচাঁদপুর মহাসড়ক এবং উপজেলা ও পৌর এলাকার ইটভাটার সাথে গ্রামীণ রাস্তাগুলো। পিচ্ছিল সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন । সড়ক থেকে ছিটকে পড়েছে অনেক গাড়ি। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় মহাসড়কে অনেক সময় দীর্ঘ যানজটও সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এতে করে এসব সড়ক ব্যবহারকারীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে ।
অন্যদিকে রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ইতিমধ্যে অনতত ২০ টি মোটরসাইকেল ২ টি ভ্যান ও ১ টি ইজিবাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর পাওয়া যায় । আর এসব ঘটনায় ১৫ জনের অধিক আহত হয়েছেন। সরেজমিন কোটচাঁদপুর ও ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়ক পরিদর্শনকালে যানবাহন চালক, যাত্রী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইটভাটা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আবাদি জমি কিংবা দেখতে মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে। এসব মাটি ট্রাক যোগে ইট ভাটায় নেয়ার সময় সড়ক এবং মহাসড়কের উপর ঝরে পড়ে। দিনরাত সমান তালে ট্রাক থেকে ঝরে পড়া মাটি সড়কের উপর প্রলেপ তৈরি করে। বিশেষ করে আবাদি জমির নিচের অংশের নরম মাটি সড়কের উপর পড়ার পর যান চলাচলের ফলে সড়কে শক্ত প্রলেপ তৈরি করে। মাটির প্রলেপের উপর বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে পুরো সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়।
বিশেষ করে ইটভাটা এলাকায় অবস্থিত সড়ক মহাসড়কে গত দুদিনের স্বল্প বৃষ্টিতেই এক থেকে দেড় ইঞ্চি পুরু পিচ্ছিল কাদায় পরিণত হয়েছে। এমন পিচ্ছিল কাদার উপর দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই ঝুঁকে নিয়ে মানুষকে এসব সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী শরিফুল ইলাম নামে এক মোটরসাইকেল চালক জানান, বৃষ্টিতে তালেশ্বর থেকে কালীগঞ্জ অভিমুখে রেলগট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিশেষ করে ভাটার সম্মুখের সড়ক যেনো চাষ দেয়া জমির মতো হয়ে গেছে।পাতিবিলা নামক স্থানে সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। এ অবস্থায় গাড়ি চালানো তো দূরের কথা, সড়কের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। মহাসড়ক ব্যাবহার করে মাটি নেওয়া বন্ধ করা দরকার। বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মহসিন হোসেন জানান, মাটি পরিবহন এবং সড়কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে মহাসড়কে মাটির প্রলেপ পড়েছে। আজ সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ফলে সড়ক বেশি পিচ্ছিল হয়েছে। এতে যানবাহন কিছুটা ধীর গতিতে চলেছে তবে যানজট হয়নি। আর সড়কের কোথাও বড় ধরনের কোন কোনো দুর্ঘটনার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, সড়ক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ইটভাটা মালিকদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রতিপালনের ব্যবস্থা করব।