তানোরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, ৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি

মো: ইমরান হোসাইন; তানোর, রাজশাহী : | প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
তানোরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, ৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি

রাজশাহীর তানোরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হলেও চারদিনেও ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে ওই ধর্ষক মুদি দোকানদার ইকবাল ও তার সহযোগীরা মামলা তুলে নিতে ধর্ষিত পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। এতে ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না ধর্ষিত পরিবারের কেউ। মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ রোববার বিকেলে ওই কলেজছাত্রী তার শিক্ষকের বাসায় গাইড নিতে যাচ্ছিল। পথে পূর্বপরিচিত উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া বাজারের মুদি দোকানি ইকবাল ওই ছাত্রীকে কৌশলে ঘরে ডেকে নেয়। পরে বিভিন্ন উপায়ে ইকবালের সহযোগী চা দোকানদার মালেক মুদি দোকানের শার্টার নামিয়ে দেয়। এতে ওই ছাত্রী আপত্তি জানালে একটু পরে শার্টার খুলে দিচ্ছি বলে বিভিন্ন জিনিস কিনে দেবার নামে যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এসময় ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার ইকবাল ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তার দোকান থেকে বের করে দেয় ইকবাল। পরে অভিযুক্ত ধর্ষকের বাবা আনছার আলী ওই ছাত্রীকে উল্টো দোষারোপ করে তার পরিবারের কাছে রেখে আসে। ঘটনাটি নিয়ে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে সোমবার রাতে ৩ জনকে আসামী করে তানোর থানায় মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এপ্রতিবেদককে জানান, রোববার বিকেলে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির চাঁন্দুড়িয়া বাজারে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মামলায় আসামি করা হয় চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের ইকবাল (২৮), তার বাবা আনছার (৬৫) ও একই গ্রামের চা দোকানি মালেককে (৬০)। কিন্তু এমন ঘটনার ৪দিনেও ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়নি। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার পরপরই আসামিরা গা-ঢাকা দেয়। তবে, ধর্ষণের সহযোগী এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার অভিযান চলছে। মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। ই/তা

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে