ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হাসবেন নাকি কাঁদবেন? যে গোলে হেরে গেলো তার দল পর্তুগাল, সে গোলটি করে রোনালদোর সামনেই তার ট্রেডমার্ক ‘সিউ’ উদযাপন করলেন ডেনমার্ক তারকা রাসমুস হজলান্ড। ডেনমার্কের স্ট্রাইকার হজলান্ড বেঞ্চ থেকে নেমে নায়ক বনে গেলেন। তার গোলেই গতকাল শুক্রবার পার্কেন স্টেডিয়ামে নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এই মৌসুমে গোলের জন্য সংগ্রাম করা হজলান্ড ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে জালের দেখা পান। ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড গোলের পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সামনেই তার বিখ্যাত ‘সিউ’ উদযাপন করেন। ম্যাচ শেষে হজলান্ড বলেন, ‘এটি অসাধারণ ছিল, অনেক দিক থেকে এটি একটি দুর্দান্ত দিন। আমি আমার আদর্শ রোনালদোর বিপক্ষে খেলেছি, গোল করেছি এবং ম্যাচের জয়সূচক গোলদাতা হয়েছি। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারতো না।’ প্রথমার্ধে পর্তুগালের রক্ষণে চাপ তৈরি করে ডেনমার্ক। মাত্র তৃতীয় মিনিটেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের স্বপ্নের শুরু পেতে পারতেন ডেনমার্কের ফরোয়ার্ড মিকা বিয়েরেথ। তবে কস্তা শেষ মুহূর্তে বল কর্নারের জন্য পাঠিয়ে গোল বাঁচান। পর্তুগাল প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে অষ্টম মিনিটে। পেদ্রো নেতো দূরপাল্লার শট নেন, কিন্তু ক্যাসপার শ্মাইখেল শক্ত হাতে বল ঠেকিয়ে দেন। এরিকসেন পুরো ম্যাচ জুড়েই আক্রমণের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন। ২৩তম মিনিটে তার বাঁ পায়ের শট রেনাতো ভেইগার হাতে লাগলে ডেনমার্ক পেনাল্টি পায়। তবে ৩৩ বছর বয়সী তারকা গোল করতে ব্যর্থ হন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক সেভ করেন কস্তা। ৩৬তম মিনিটে কস্তা আবারও ডেনমার্ককে হতাশ করেন, যখন তিনি বিয়েরেথের গোলের সুযোগ দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। দারুণ ফর্মে থাকা কস্তা বেশ কিছু সেভ করলেও ডেনমার্কের একমাত্র গোল ঠেকাতে পারেননি। এরিকসেন পেনাল্টি বক্সের ডানে থাকা আন্দ্রেয়াস স্কভ ওলসেনকে বল বাড়ান, যিনি হজলান্ডের জন্য বল সেটআপ করেন, ডান পায়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ২২ বছর বয়সী ম্যানইউ তারকা। গোলের পর ডেনমার্ক রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে এবং পর্তুগালকে আক্রমণ করার সুযোগ দেয়, তবে রোনালদোর দল আর সমতা ফেরাতে পারেনি। ফলে ডেনমার্ক ১-০ গোলের লিড নিয়ে আগামীকাল রোববার লিসবনে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যাবে। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালে ইতালি বা জার্মানির মুখোমুখি হবে।