২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এবারের পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। রোববার (১৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। এসব শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। এই পরীক্ষায় ৯ হাজার ৬৩টি মাদরাসার শিক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে অংশ নেবে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১৩ মে শেষ হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
এবারের পরীক্ষা সম্পূর্ণ সিলেবাসের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রবেশপত্র অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী, তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে পাস করতে হবে। পরীক্ষার হলে শুধুমাত্র সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার অনুমতি থাকবে, তবে কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার সভায় বলেন, “এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ একটি বৃহৎ কর্মযজ্ঞ। পরীক্ষার সময় যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।