অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সৈয়দ মিলন ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় সৈয়দ মিলনের মালিকানাধীন ‘সৈয়দ টাওয়ার’-এর তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন (১৬ জানুয়ারি) ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ওসি খলিলুর রহমান ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত ১৮ মার্চ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় মিলন পলাতক ছিলো।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন। তিনি বলেন, আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়েছেন। মঙ্গলবার সে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিল, আদালত তা নাকচ করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মলিক নাসির উদ্দীন কবীর বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন না। আজ মঙ্গলবার আসামী মিলন আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন চাইবো।