খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়ার লক্ষে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করেছে। বুধবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, খুলনা নগরীর হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি রোডে সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলা-গুলি হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হরিণটানা এবং আড়ংঘাটা থানা পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা নিবাসী সবুর সরদারের পুত্র খাইরুল সরদার (২৭) কে সনাক্ত করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে, হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অস্ত্র কিনতে গিয়ে অস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় অসর্তকতার কারণে তার হাতে থাকা পিস্তলের গুলি ফায়ার হয়ে তার বাম হাতের তালুতে লেগে জখমপ্রাপ্ত হয়।
তখন তাকে নিয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগে ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল থেকে বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গুলিবিদ্ধ খাইরুল অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক হোসেনের বাড়ি দেখিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ ফারুক হোসেন (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, সাং-চরকচুড়িয়া, থানা ও জেলা-পিরোজপুর, এ/পি সাং-বাঙ্গালবাড়ি রোড (জনৈক শফিকুল ইসলামের ভাড়াটিয়া), থানা-হরিণটানা, খুলনার বাড়ি তল্লাশী করে। এসময় ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করে। এক পর্যায়ে তার দেখানো মতে তার রান্না ঘরে থাকা জ্বালানি কাঠের স্তুপের মধ্য থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, তার বসত ঘরের মধ্যে থাকা টিনের বাক্সে রাখা একটি শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভিতরের দেওয়ালের উপর থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১ রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে ১টি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়। এরপর অবৈধ অস্ত্র বেচা-কেনার কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল এবং ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র গোলা-বারুদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং দ্স্কুৃতৃকারীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচা করে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদমা আছে কি-না তা যাচাই করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের গ্রেফতার এবং আরও অস্ত্র গোলা-বারুদ উদ্ধারের জন্য অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।