রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামীলীগের এক নেতার বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত খাওয়া নিয়ে বিরোধে বিএনপির একই গ্রুপের দু’পক্ষের মারামারিতে ৯ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে মনিগ্রাম বাজারে এই ঘটনা ঘটে। তারা উভয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের অনুসারি বলে জানা গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সোহাগ হোসেন শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন-কামাল হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (১৮), হয়রত আলীর ছেলে বকুল হোসেন (৩৮), হয়রত আলী ছেলে রনি হোসেন (৩১), মুক্তার হোসেনের ছেলে আলিফ হোসেন (২০), মতিউর রহমান ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), গোলাম মোস্তফার ছেলে কুদরত আলী (৪১), মাইনুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (৩০), সুকচান আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০), আসরাফ আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৩২)। তাদের বাড়ি মনিগ্রাম ও তুলশিপুর গ্রামে।
এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি আয়নাল হক পিন্টু বলেন, আমিসহ এলাকার অনেক লোকের কাছে বিএনপির বকুল ও তার সমর্থকরা ঈদ উপলক্ষে চাদা দাবি করে। চাদা না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করে। তার মধ্য ফেজবুকে লিখেছে আমি আওয়া মীলীগের বাড়িতে ইফতার করে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে মনিগ্রাম বাজারে জানতে চাওয়ায় তারা আমার ও আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে রাশিদুলের গুড়ের আড়ত ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বকুল হোসন বলেন, ওয়ার্ড সভাপতি পিন্টু আওয়ামী লীগের নেতা সার গোলাপের বাড়িতে ইফতারে যাঢ। এতে জাহিদ ফেজবুকে লেখালেখি করে। পিন্টু মনিগ্রাম বাজারের দক্ষিণ মাথা যেতে নিষেধ করে। ওইদিন রাতে জাহিদ বাজারের গেলে পিন্টু ও তার লোকজন হামলা করে। এতে উভয়ের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি।