পাথরঘাটায় প্রভাষীকে অপহরন: লাখ টাকায় মুক্তি

এফএনএস (পাথরঘাটা, বরগুনা) : : | প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
পাথরঘাটায় প্রভাষীকে অপহরন: লাখ টাকায় মুক্তি

বরগুনার পাথরঘাটায় নাজমুল নামের এক প্রবাসীকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণের পর বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নাজমুলের বাবা এক বিএনপি নেতাকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তার ছেলেকে উদ্ধার করেছেন। প্রসাশনের সহযোগিতা না পেয়ে নির্যাতিত যুবক আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছে। বুধবার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে নির্যাতিত নাজমুল জমাদ্দার তার পরিবার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার ওপর নিযাতনের বিচার চেয়েছেন। গত রেবিবার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের মুচিঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নাজমুলের মা হনুফা বেগম জানান, তার ছেলে সৌদি প্রবাসে থাকে। ১ মাস আগে নাজমুল বাড়িতে আসছে। বিশেষ কাজে তার ছেলে এতদিন ঢাকা ছিল। রবিবার নাজমুল বাস যোগে পাথরঘাটার কাকচিড়া বাজারে বাস ষ্টান্ডে নামলে ৭/৮ জন

যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মুচিঘাটা আবাসন কেন্দ্রে হামিদা নামের একটি মেয়ের ঘরে আটকিয় উলঙ্গ করে তাকে মারধর করে। এ মারধরের ভিডিও ধারন করে নাজমুলের বাবার কাছে পাঠিয়ে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেন এবং ভিডিওটি একটি নিউজ পোটালে ভাইরাল করে দেয়। পরে কাকচিড়া বাজারের বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাধারন সম্পাদক কবির ডাক্তারের মাধ্যমে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আবুল কলাম ওরফে গদি কালামকে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিয়ে নাজমুলকে ছাড়িয়ে আনা হয়ছে বলে জানান। তিনিও তার ছেলের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবী করেছেন।

যার ঘরে বসে নির্যাতন করা হয়েছে সেই নারী হামিদা বেগম জানান, তার সাথে নাজমুলের পরোকিয়া প্রেম ছিল। ঘটনার দিন তার কাছে নাজমুল আসলে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে হাত/পা বেধে ফেলে নির্যাতন করেছে। এর পর নাজমুলকে কিভাবে ছাড়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে নাজমুলের সাথে তার পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্কের কোন তথ্য প্রমান নাই বলে হামিদা জানান।

গদি কালাম জানান, ঘটনার দিন নাজমুল জোমাদ্দার হামিদার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল এসময় তাকে এলাকার কিছু ছেলেরা হাতে নাতে ধরেছে। পওে কবির ডাক্তারের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে নারীঘঠিত বিষয় দেখে তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানান। পরে কি হয়েছে তা সে জানেনা। সাংবাদিকদের কাছে মুক্তিপনের টাকার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন। পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার দিন কালাম নামে এক লোক আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিল এবং নির্যাতনের ভিডিওটি আমাকে দিয়েছিল। পরে ভিকটিম এ নিয়ে আমার কাছে আর আসেনী। এ জন্য আমিও কোন ব্যাবস্থা নিতে পারিনী। লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে আমি কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে