পিরোজপুরের নাজিরপুরের ৩নং দেউল বাড়ীদোবড়া ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারি সহায়তা (ভিজিএফ কার্ড)এর চাল বিতরনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা যায় ৩৩৬ জন মৎস্য জীবী কার্ড ধারী দের নিকট থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুল আলম বাবুল ও তার পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোস্তফা ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাঞ্চন বিশ্বাস এর নির্দেশে ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোঃ হাসান খলিফা ও একই এলাকার বারেক বেপারীর ছেলে কবির হোসেনের মাধ্যমে প্রতি মৎস্যজীবী (ভিজি এফএফ কার্ডধারি) সদস্যের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার( ১৮ মার্চ) ৩ নং দেউলবাবাড়ি দোবড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময়।
এছাড়াও জানা গেছে ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুল আলম বাবুল ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বীর দর্পে দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। অভিযোগে উঠে এসেছে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ৪০ দিনের কর্মসূচির একাধিক প্রকল্পের কাজ না করিয়ে পকেট ভারি করার অভিযোগ ও রয়েছে।
সারেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে সাংবাদিকদেরর উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুলের নির্দেশে ওই টাকা প্রত্যেক ভিজিএফ কার্ডধারি সদস্যদের কাছে ফেরত দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোস্তফা মোল্লা মুঠোফোনে জানান ভাই আমি টাকা তোলার ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে ৩ নং দেউলবারী দোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানএফ এম এফএম রফিকুল ইসলাম বাবুল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি এবং আমার কোন মেম্বার টাকা তুলতে কাউকেই বলে নাই। ওইখানে একটা ছেলে তুলছিল এবং আমি পরে আপনাদের মাধ্যমে শুনতে পেরে প্রত্যেক কার্ড ধারি দেরকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
নাজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানান আমরা মৎস্যজীবী কার্ড ধারিদের দুই মাসে ৮০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। সেখানে কোন রকমে কম দিতে পারবে না এবং আপনার কাছে এই প্রথম শুনলাম যে টাকা নিচ্ছে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নাই কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিতে পারবে না।